২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:১২ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
ছারছীনার পীর সাহেব হুজুরের বরিশাল আগমন উপলক্ষে আগামীকাল শনিবার ঈছালে ছওয়াব ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় উদ্ধার হওয়া তিনটি তক্ষক বনায়ন ও নার্সারি এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বাগানে অবমুক্ত ফাতেমা জোহরা আদিবার আন্তর্জাতিক সাফল্য; অস্ট্রেলিয়ার নিবন্ধিত আর্কিটেক্ট স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় বরগুনার শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রবিউল হত্যা মামলায় নিরপরাধদের জড়ানোর অভিযোগে বাবুগঞ্জে বিএনপি’র একাংশের সংবাদ সম্মেলন বাবুগঞ্জের ছাত্রদল নেতার খুনিদের গ্রেপ্তার পরবর্তী দৃষ্টান্ত ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ চুয়াডাঙ্গায় ৩ তক্ষকসহ গ্রেফতার ১জন বাবুগঞ্জ এলজিইডি’র এলসিএস কমিউনিটি অর্গানাইজার সানজিদার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানির অভিযোগ জোটের চাপ নাকি অভ্যন্তরীণ কোন্দল? বরিশাল -৩ আসনে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। ভোটারদের মাঝে ‘ভিআইপি চমক’-এর গুঞ্জন বাবুগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ
নলছিটিতে সেই ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ১১ ইউপি সদস্য অনাস্থা

নলছিটিতে সেই ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ১১ ইউপি সদস্য অনাস্থা

মনির হোসেন ঝালকাঠি প্রতিনিধি
ঝাালকাঠির নলছিটিতে বিতর্কিত ও বহু অপকর্মের হোতা সুবিদপুর ইউপি চেয়ারম্যান আঃ মান্নান সিকদারের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাত ও অশালীন আচরণসহ অভিযোগের পাহাড় এনে ১১ ইউপি সদস্য দ্বিতীয়বারের মত অনাস্থা প্রদান করেছেন। রবিবার নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট ১১ সদস্য এ অভিযোগ তুলে অনাস্তা পত্র দাখিল করেন। এর আগে ১৬ আগস্ট ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক বরাবরে একই অভিযোগে অনাস্থা প্রদান করেন।

এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. সাখাওয়াত হোসেন লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। এর আগে গত ১৬ আগস্ট ৯ জন ইউপি সদস্য অনাস্থা প্রস্তাব লিখিতভাবে জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলীর কাছে দেন। তাদের লিখিত অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছেন বলে জেলা প্রশাসনের একটি সূত্র জানিয়েছে।

লিখিত অনাস্থা পত্রে ও ইউপি সদস্যরা জানান, সুবিদপুর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান সিকদার নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই ক্ষমতার অপব্যবহার, নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা করে সাধারণ জনগনকে ধোকা দিয়ে নিজের আখের গুছিয়ে আসছেন। এমনকি তিনি নিজে স্বঘোষিত একটি সন্ত্রাসী বাহিনী তৈরি করে এলাকায় সন্ত্রাসের রামরাজত্ব কায়েম করেছে। এদের দিয়ে ইউপি সদস্যদের ভয় দেখিয়ে জিম্মি করে বিভিন্ন প্রকল্প বানিয়ে রেজুলেশনে ইচ্ছার বিরুদ্ধে সই নিতেন। অথচ প্রকল্পের কোন কাজ না করেই লাখ লাখ টাকা আত্মসাত করে কোটিপতি বনে এ দূর্ণীতিবাজ ইউপি চেয়ারম্যান। অভিযোগ রয়েছে ইউনিয়ন পরিষদের পুরনো ভবন ভাড়া দিয়ে তিন লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তাঁর এহেন অনৈতিক কাজের বিরুদ্ধে কথা বললে সদস্য পদ থেকে বরখাস্তের ষড়যন্ত্র, হামলা, মামলা ও মেরে ফেলার হুমকি দিতো চেয়ারম্যান ও তার বাহিনী। অবশেষে পরিষদের সকল সদস্যরা নিরুপায় হয়ে এসব অনিয়ম ও দুর্নীতি তুলে ধরে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা দেন। জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিতে আসেন প্যানেল চেয়ারম্যান মো. মানছুর খান, ফিরোজ আলম সোহাগ জোমাদ্দার, ইউপি সদস্য আমানুর রহমান সুমন, শাহ আলম হাওলাদার, রেজাউর রহমান রেজা, আবদুল জলিল মৃধা, রেজাউল করিম সোহাগ খান, মিজানুর রহমান, শারমিন বেগম, লাভলী বেগম ও রাফিকা বেগম।

অনাস্থাপত্রের লিখিত অভিযোগে সুনির্দিষ্ট ২৪টি অনিয়ম ও দূর্ণীতির অভিযোগ তুরে ধরে প্রশাসনের সর্বোচ্চ আইনগত সহায়তা দাবী করেন।।

এ ব্যাপারে সুবিদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আঃ মান্নান সিকদার তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, আমার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা ইউপি সদস্যদের দিয়ে এসব করাচ্ছে।’

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019